রোগীর ফিডব্যক এবং চিকিৎসা
একটি বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে সার্জারির প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়। এটি রোগীর জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম ব্যয়বহুল একটি বিকল্প, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ এবং আরামদায়ক করে তোলে। এখানে কিছু ধারণা দেওয়া হলো: ১. টিউমার ও গাঁটের চিকিৎসা: অপারেশনের বিকল্প হিসেবে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মাধ্যমে টিউমার বা গাঁটের আকার ছোট করা এবং বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এটি বিশেষভাবে উপকারী যখন টিউমার নন-ক্যান্সারাস হয় এবং সার্জারি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ২. অর্শ্ব (হেমোরয়েড) এর ক্ষেত্রে: অনেক ক্ষেত্রেই অর্শ্ব বা হেমোরয়েডের জন্য শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন হয়। তবে, হোমিওপ্যাথি এই রোগের জন্য একটি কার্যকরী বিকল্প হতে পারে, যেখানে ব্যথা ও রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং ধীরে ধীরে রোগটি নিরাময়ের দিকে এগিয়ে যায়। ৩. পাইলস ও ফিস্টুলা: পাইলস বা ফিস্টুলার মতো রোগগুলোর ক্ষেত্রে, যেখানে সাধারণত অপারেশন প্রয়োজন হয়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সার্জারির প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যেতে পারে। ৪. স্টোন বা পাথর অপসারণ: কিডনি, পিত্তথলি, বা মূত্রনালীর পাথর অপসারণের জন্য হোমিওপ্যাথি একটি বিকল্প হতে পারে। এতে স্টোনের আকার ছোট করা বা স্টোনের দ্রবীভূত করে প্রাকৃতিকভাবে নির্গত করা সম্ভব হয়। ৫. সার্জারির পরে পুনরুদ্ধার সেবা: যদি রোগীর অপারেশন করা হয়ে থাকে, তবে হোমিওপ্যাথি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হতে পারে, অপারেশন পরবর্তী জটিলতা কমাতে এবং রোগীর সামগ্রিক সুস্থতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।